আল হাদিস এর বাণী (পর্ব-৩)

৪১। সত্য লোকের নিকট অপ্রিয় হইলেও তাহা প্রচার কর। -আল হাদিস
৪২। শিক্ষা অর্জনে সূদুর চীন দেশে যেতে হলে যাও। -আল হাদিস
৪৩। মাতা পিতাকে কষ্ট দিবে না। তারা যদি তোমাকে তোমার সন্তান সন্ততি ও বিষয় সম্পদ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয় তবুও। -আল হাদিস
৪৪। মানুষের ভিতরে এমন একটি অংশ আছে ওই অংশটি যদি পরিশুদ্ধ হয় তাহলে মানবদেহের পুরো অংশ পরিশুদ্ধ হয়। কিন্তু যদি ওই অংশটি নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে মানবদেহের পুরো অংশ নষ্ট হয়ে যায়। সেই অংশটি হলো ‘আত্মা’। -আল হাদিস
৪৫। দরিদ্রকে দান করিলে সেই দানের জন্য একটি পুরষ্কার আছে। কিন্তু অভাবগ্রস্ত আত্নীয়-স্বজনকে দান করিলে সেই দান করিলে সেই দানের জন্য দুইটি পুরষ্কার আছে, একটি দানের জন্য, অন্যটি আত্নীয়কে সাহায্য করার জন্য। -আল হাদিস
৪৬। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (সাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কোন কাজটি আল্লাহর নিকট সবচাইতে প্রিয়? তিনি বললেন, ‘ঠিক সময়ে নামায আদায় করা।’ তিনি (আবদুল্লাহ) পুনরায় বললেন, এরপর কোন কাজটি আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয়? নবী (সাঃ) বললেন, ‘পিতামাতার সেবা ও আনুগত্য করা। তিনি আবারও জিজ্ঞেস করলেন, এরপর কোন কাজটি? জবাবে নবী (সাঃ) বললেন, ‘আল্লাহর পথে জিহাদ করা।
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ বলেন, নবী (সাঃ) আমাকে এগুলোর কথাই বললেন। আমি আরো বেশী জানতে চাইলে তিনি আরও বলতেন। -বুখারী
৪৭। আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছেন ‘তোমরা বলতো যদি তোমাদের কারো বাড়ীর দরযায় একটি নদী থাকে আর সে তাতে প্রতিদিন পাঁচবার করে গোসল করে, তাহলে কী তার শরীরে কোনরূপ ময়লা থাকবে? জবাবে সবাই বলল, না তার শরীরে কোন ময়লা থাকবে না। রসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের ব্যাপারটিও অনুরূপ। এর সাহায্যে আল্লাহ গুনাহসমূহের (ধুয়ে-মুছে) বিলোপ সাধন করেন। -বুখারী
৪৮। আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাঃ) এর সময় যেটি যেমন ছিল তেমনটি এখন আর একটাও দেখতে পাই না। বলা হলো, কেন নামায তো ঠিকই আছে। আনাস (রাঃ) বললেন, সেখানেও যা করার তা কি তোমরা করনি? (অর্থাৎ ঠিক সময়মত নামায আদায় না করে অসময়ে আদায় করে থাকে। -বুখারী
৪৯। যুহরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, দামেস্কে আমি আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) এর নিকট গিয়ে দেখতে পেলাম, তিনি কাঁদছেন। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, কি কারণে কাঁদছেন? তিনি বললেন, নবী (সাঃ) এর সময় যা যা দেখেছি তার মধ্যে এই নামাযই আজ পর্যন্ত ঠিকমত অবশিষ্ট ছিল (ঠিক সময়ে আদায় করা হতো)। কিন্তু নামাযও এখন নষ্ট হতে চলেছে। -বুখারী
৫০। আনাস (রাঃ) নবী (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেন। নবী (সাঃ) বলেছেন, তোমরা নামাযের সিজদায় এতেদাল বা ভারসাম্য সৃষ্টি কর। তোমাদের কেউ যেন কুকুরের মত তার দুই বাহু ছড়িয়ে না দেয়। আর যখন থুথু নিক্ষেপ করার প্রােয়াজন হবে তখন সে সামনে বা ডাইনে থুথু নিক্ষেপ করবে না। কেননা, নামায অবস্থায় সে তার প্রতিপালকের সাথে আলাপরত থাকে। -বুখারী

৫১। আবু হুরাইরা ও আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) উভয়েই রসূলুল্লাহ (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, যখন গরমের প্রচণ্ডতা বৃদ্ধি পায় (তখন নামায আদায় না করে বরং) বিলম্ব করে ঠাণ্ডা সময়ে নামায আদায় কর। কেননা জাহান্নামের আগুনের তেজক্রিয়তার জন্য গরমের প্রচন্ডতা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। (অথবা গরমের প্রচন্ডতা জাহান্নামের আগুনের অংশ বিশেষ)। -বুখারী
৫২। আবুযার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, (এক গরমের দিনে) নবী (সাঃ) এর মুয়াযযীন যোহরের নামাযের আযান দেয়ার অনুমতি চাইলে (সাঃ) বললেন, আরে ঠান্ডা হতে দাও, ঠান্ডা হতে দাও। অথবা (বর্ণনাকারী সন্দেহ) বললেন, অপেক্ষা কর। অপেক্ষা কর। তিনি আরো বললেন, গরমের প্রচন্ডতা জাহান্নামের আগুনের তেজক্রিয়তা থেকে সৃষ্টি হয়। সুতরাং গরমের প্রচন্ডতা বৃদ্ধি পেলে ঠান্ডার (যোহরের) নামায পড়। এমনকি আমরা পাহাড়ের টিলায় ছায়া দেখতাম। (তারপর যোহরের নামায পড়তাম)।
৫৩। তোমরা যা ভালোবাস তা থেকে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা পূন্যলাভ করবে না। । -আল হাদিস
৫৪। মাতা পিতাকে কষ্ট দিবে না। তারা যদি তোমাকে তোমার সন্তান সন্ততি ও বিষয় সম্পদ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয় তবুও। -আল হাদিস
৫৫। সে ব্যক্তি মুমিন নয় যে নিজে তৃপ্তি সহকারে আহার করে, অথচ তার প্রতিবেশী অনাহারে থাকে। -আল হাদিস
৫৬। ধৈর্য এমন একটি গাছ, যার সারা গায়ে কাটা কিন্তু ফল অত্যন্ত মজাদার। -আল হাদিস
৫৭। যে ব্যক্তি মানুষকে দয়া করে না, আল্লাহ তায়ালা তাহার উপর রহমত বর্ষণ করে না। -আল হাদিস
৫৮। রোজা কিয়ামতের দিন মুমিন ব্যক্তির জন্য শুপারিশকারী হবে। -আল হাদিস
৫৯। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, বান্দার ঈমান ও কুফরীর মধ্যে পার্থক্য হল নামায ত্যাগ করা। -আহমদ
৬০। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, আল্লাহর নিকট সর্বাধিক পছন্দনীয় আমল হল ওয়াক্তমত নামায় আদায় করা।– বোখারী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *