অনুপ্রেরণামূলক ১০০ উক্তি, যা আপনার জীবনকে বদলে দেবে

অনুপ্রেরণামূলক উক্তি, অনুপ্রেরণামূলক বাণী, প্রেরণামূলক বাণী, প্রেরণামূলক উক্তি : অনুপ্রেরণামূলক উক্তি বা অনুপ্রেরণামূলক বাণী মানুষের জীবন চলার পথে প্রেরণা যোগায়। মানুষ সব সময়ই কোনো না কোনো বিষয়ে হতাশায় ভুগে। হতাশার সময় মানুষ নিজকে ভুলে যায়, সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। আর এর জন্য প্রয়োজন বেশি বেশি বই পড়া, যে বই আপনাকে অনুপ্রেরণা দিতে পারে বা ভিতরকে জাগ্রত করতে পারে। মানুষ অনেক কিছুই বুঝে কিন্তু সেই বুঝ তার জীবনকে সব সময় ধাক্কা দিতে পারে না। আর এই ক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুপ্রেরণামূলক উক্তি বা অনুপ্রেরণামূলক বাণী পড়া। হয়তো কোনো একটি বাণী বা উক্তি একজন মানুষকে ধাক্কা দিতে পারে তার বিবেক বা মনকে জাগ্রত করে ফেলতে পারে। আর তাতেই হয়তো এসে যেতে পারে সাফল্য। তবে অনুপ্রেরণা মূলক বাণী বা অনুপ্রেরণা মূলক উক্তি পড়লেই হবে না। উক্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে কাজ করতে হবে। মোটকথা কাজ বা পরিশ্রম ছাড়া কেউ উন্নতি করতে পারে না। তাই সবার উচিত অনুপ্রেরণামূলক উক্তি পড়ে সেই অনুযায়ী কাজ করা। অনুপ্রেরণামূলক উক্তি , অনুপ্রেরণামূলক বাণী:

১। আপনি যদি গরীব হয়ে জন্ম নেন তাহলে এটা আপনার দোষ নয়, কিন্তু যদি গরীব থেকেই মারা যান তবে সেটা আপনার দোষ।
– বিল গেটস
২। ব্যর্থ হওয়া মানে হেরে যাওয়া নয়, ব্যর্থতা নতুন করে আবার শুরু করার প্রেরণা। হাল ছেড়ে দেওয়া মানেই হেরে যাওয়া।
– অ্যানোনিমাস
৩। মেধা থাকলেই তাকে মেধাবী বলা যায় না, মেধাবী হলো সে-ই যার মেধা না থাকা সত্ত্বেও চেষ্টা দিয়ে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
-রেদোয়ান মাসুদ
৪। আপনি যে নতুন একটি কাজ হাতে নিয়েছেন তার উপর ভিত্তি করেই সত্যিকারের সিদ্ধান্তের মাপকাঠি ধরা হয়। যদি হাতে কোন কাজ না থাকে, তাহলে আপনি এখনও আপনার সত্যিকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেননি।
-টনি রবিনস
৫।জীবন চলার পথে বাঁধা আসতেই পারে তাই বলে থেমে যাওয়ার কোনো অবকাশ নেই। যেখানে বাঁধা আসবে সেখান থেকেই আবার শুরু করতে হবে।
-রেদোয়ান মাসুদ

৬। একজন গড়পড়তার মানুষ কথা বলে। একজন ভাল মানুষ ব্যাখ্যা করে। একজন উর্ধ্বতন মানুষ কাজ করে দেখায়। একজন সেরা মানুষ অন্যদেরকে প্রেরণা যোগায় যাতে তারা নিজেরাই কাজকে নিজের মত করে দেখতে পারে।
-হার্ভি ম্যাকে
৭। আপনার দর্শন ও স্বপ্নকে নিজের সন্তানের মত লালন করুন কারণ এগুলোই আপনার চূড়ান্ত অর্জনের প্রতিচিত্র হয়ে উঠবে।
-নেপোলিয়ন হিল
৮। পৃথিবীতে কোনো মেয়েই ছয়টা গাড়ীর মালিক ছেড়ে সিক্স প্যাক ওয়ালা ছেলেদের সাথে যাবে না, তাই জিমে যাওয়া বন্ধ করে কাজে যাও
– রবার্ট মুগাবে
৯। একবার পরীক্ষায় কয়েকটা বিষয়ে আমি ফেল করেছিলাম কিন্তু আমার বন্ধু সব বিষয়েই পাশ করে। এখন সে মাইক্রোসফটের একজন ইঞ্জিনিয়ার আর আমি মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা।
– বিল গেটস
১০। নিজের শরীরের যত্ন নিন। কারণ এটাই আপনার একমাত্র থাকার জায়গা।
-জিম রন
১১। আপনি জীবনে যা চান তা আপনি পেতে পারেন যদি আপনি অন্যদেরকে তাদের চাওয়া নিশ্চিত করতে সাহায্য করে থাকেন।
-জিগ জিগলার
১২। যতবার আমি ব্যর্থ হই এবং চেষ্টা চালিয়ে যাই তার উপর সরাসরি নির্ভর করে আমি কতবার সফল হতে পারব।
-টম হপকিন্স
১৩। কেউ সম্পূর্ণ আপনার মতো হবে না একইভাবে আপনিও কারো মতো হবেন না, দুজনের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য থাকবেই আর এই পার্থক্যটুকুই হলো ধৈর্য।
– রেদোয়ান মাসুদ
১৪। যদি আমাকে একটি সমস্যা সমাধানের জন্য এক ঘন্টা বেঁধে দেয়া হয়, আমি ৫৫ মিনিট সমস্যাটা নিয়ে চিন্তা করি এবং বাকি ৫ মিনিট সমাধানটা নিয়ে চিন্তা করি
– অ্যালবার্ট আইনস্টাইন
১৫। দুঃসময়ের অন্ধকার কখনো কখনো আমাদের জীবনের সবচেয়ে উজ্জ্বল মুহূর্তটির দ্বার খুলে দেয়।
– অ্যানোনিমাস
১৬। কখনো হাল ছেড়ে দিও না! এখনকার এই দাঁতে দাঁত চেপে করা কষ্টগুলো তোমাকে বিজয়ীর খেতাব দেবে সারাজীবনের জন্য।
-Muhammad Ali
১৭। যদি আপনি আপনার রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না জানেন, তাহলে আপনার অবস্থা আক্রমণ হওয়ার উপক্রম একটি অসহায় প্রাচীরহীন শহরের মত।
-বুক অফ প্রোভার্বস

১৮। প্রত্যেকের জীবনের একটা গল্প আছে। অতীতে ফিরে গিয়ে গল্পের শুরুটা কখনো পরিবর্তন করা সম্ভব নয়, কিন্তু কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তুমি গল্পের শেষটা চাইলেই নতুন করে সাজিয়ে তুলতে পারো।
-Chico Xavier
১৯। কখনো ভেঙে পড়ো না। পৃথিবীর যা কিছু হারিয়ে যায়, অন্য কোন রূপে সেটি ঠিকই আবার ফিরে আসে জীবনে।
-Rumi
২০। প্রাপ্তি আর প্রত্যাশার পার্থক্য হলো দুঃখ। তাই নিজের প্রত্যাশাটা একটু কমিয়ে ফেলুন দেখবেন আপনার দুঃখও কমে গেছে।
-রেদোয়ান মাসুদ
২১। জীবনটাকে নতুন করে আবিষ্কার করার জন্য কখনো কখনো সব ছেড়েছুড়ে হারিয়ে যেতে হয়!
-Erol Ozan
২২। সহজে জেতার আনন্দ কোথায়? বাধা যত বিশাল, বিজয়ের আনন্দও ততোই বাঁধভাঙ্গা!
-Pele
২৩। ভয় পাওয়ায় দোষের কিছু নেই। কিন্তু ভয় পেয়ে পড়ে থাকলে চলবে না, তোমাকে উঠে দাঁড়াতে হবে, ফাইট দিতে হবে, হেরে গেলে আবার নতুন উদ্যমে সব শুরু করার উদ্যম থাকতে হবে।
– অ্যানোনিমাস
২৪। পারিব না’ একথাটি বলিও না আর, কেন পারিবে না তাহা ভাব একবার; পাঁচজনে পারে যাহা, তুমিও পারিবে তাহা, পার কি না পার কর যতন আবার একবার না পারিলে দেখ শতবার।
– কালীপ্রসন্ন ঘোষ
২৫। অভিজ্ঞতা- এই জিনিসটি কেউ কাউকে শেখাতে পারে না। তোমাকে পৃথিবীর সবচেয়ে জ্ঞানী মানুষটি পরামর্শ দিতে পারেন, কিন্তু যতক্ষণ না নিজে অভিজ্ঞতাটি অর্জন করছো বিষয়টি তুমি সত্যিকার উপলব্ধি করতে পারবে না।
– অ্যানোনিমাস
২৬। মানুষের মন যেদিনই ক্লান্ত হয় সেদিনই তার মৃত্যু হয়।
-রেদোয়ান মাসুদ
২৭। তুমি ভুল করছো এতে লজ্জার কিছু নেই। বারবার ভুল করা একটি জিনিসই প্রমাণ করে- তুমি হাল ছাড়োনি, তুমি চেষ্টা করে চলেছ।
– অ্যানোনিমাস
২৮। জীবনে আমি হাজার হাজার ভুল করেছি, হাজারবার হোঁচট খেয়েছি- এবং সেটি নিয়ে আমি গর্বিত! প্রত্যেকটি ভুল, প্রত্যেকবার হোঁচট খাওয়া আমাকে গড়ে তুলেছে আরো শক্তিশালী, আরো পরিণত করে।
-Drew Barrymore
২৯। নিজের থেকে বড় কিছু তৈরি করার জন্য আপনার মধ্যে সব সক্ষমতাই রয়েছে।
সেথ গডিন
৩০। স্বপ্ন দেখতে জানলে জীবনের কাঁটাগুলোও ধরা দেয় গোলাপ হয়ে।
-Theodore Zeldin
৩১। আমরা অনেকসময় ভুলে যাই একটু আন্তরিকতার ছোঁয়া, একটা প্রাঞ্জল হাসি, কিছু সুন্দর কথা, সুন্দর ব্যবহারের কী অসম্ভব ক্ষমতা রয়েছে একটা মানুষের জীবন বদলে দেওয়ার!
– অ্যানোনিমাস
৩২। স্বপ্ন সেটা নয় যেটা মানুষ, ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখে; স্বপ্ন সেটাই যেটা পূরনের প্রত্যাশা, মানুষকে ঘুমাতে দেয় না।
– এ পি জে আব্দুল কালাম
৩৩। তুমি যখন সবাইকে ভালবাসতে শিখবে, সবার কল্যাণে কাজ করে যাবে- জীবনের প্রান্তিলগ্নে গিয়ে দেখবে মানুষের ভালবাসায় তুমি একদম আকণ্ঠ ডুবে আছো! বিশ্বাস করো এরচেয়ে পরিতৃপ্তি জীবনে আর কিছুতে হতে পারে না!
– অ্যানোনিমাস
৩৪। যে জীবনে কোনদিন ভুল মানুষের সাথে চলেনি সে কখনো শুদ্ধ হতে পারে না।
-রেদোয়ান মাসুদ
৩৫। পৃথিবীর সুন্দরতম জিনিসগুলো হাতে ছোঁয়া যায় না, চোখে দেখা যায় না, সেগুলো একমাত্র হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে হয়- ভালবাসা, দয়া, আন্তরিকতা।
-Helen Keller
৩৬। বাঁচার মতো বাঁচতে জানলে জীবনটা অসম্ভব রোমাঞ্চকর একটি অভিযান, আর একদম ঝুঁকিহীন জীবন সে তো মুরগির খোঁয়াড়ে ধুঁকে ধুঁকে টিকে থাকা।
– অ্যানোনিমাস
৩৭। যার নেশা আর পেশা মিলে যায় তার চেয়ে সৌভাগ্যবান আর কে হতে পারে?
– অ্যানোনিমাস
৩৮। তুমি যদি এখন থেকেই তোমার স্বপ্নগুলো সত্যি করার পেছনে ছুটে না চলো, একদিন তোমাকে কাজ করতে হবে অন্যদের অধীনে- তাদের স্বপ্নগুলো সত্যি করার জন্য।
– অ্যানোনিমাস
৩৯। কী বলা হচ্ছে”, সেটি হৃদয়ে ধারণ করো, “কে বলছে” সেটি বিবেচ্য নয়। পথের ভিখারীও কখনো তোমাকে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান পরামর্শ দিতে পারে।
– অ্যানোনিমাস
৪০। ব্যর্থতা মানে হচ্ছে ব্যর্থতা- কেন হয়েছে কার কারণে হয়েছে সেগুলো কেউ জানতে চাইবে না। তুমি ব্যর্থ হলে তার যন্ত্রণা তোমাকে একদম একাকী সইতে হবে, কেউ তোমার পাশে এসে দাঁড়াবে না। তাই কখনো অজুহাত বানাবে না, অন্যদের সুযোগ দেবে না তোমার জীবনটাকে নিয়ন্ত্রণ করার। জিততে তোমাকে হবেই!
– অ্যানোনিমাস
৪১। তিনটি অভ্যাস মানুষের কল্যাণ ডেকে আনে, আল্লাহর ইচ্ছার প্রতি সন্তুষ্ট থাকা, বিপদের সময় দু’হাত তুলে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া যে কোনো সংকটে ধৈর্য ধারণ করা।
‘মন এবং জবান’কে নিয়ন্ত্রণ করে মানব জীবনের কৃতিত্ব লাভ করা।
-ইমাম গাজ্জালী
৪২। কারো ভুল হয়তো সংশোধন করা যায় কিন্তু কারো স্বভাব পরিবর্তন করা যায় না। তাই কারো স্বভাব পরিবর্তন করতে গিয়ে নিজের আত্মসম্মানকে বিসর্জন না দিয়ে বরং সেখান থেকে সরে আসাটাই হলো প্রকৃত ব্যক্তিত্বের পরিচয়।
– রেদোয়ান মাসুদ

৪৩। আপনার জন্য যা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা যদি দুই পর্বতের নিচে ও থাকে তবু ও তা আপনার কাছে পৌঁছে যাবে। আর আপনার জন্য যা নির্ধারণ করা হয় নি, তা যদি দুই ঠোঁটের মাঝে ও থাকে তবু ও তা আপনার কাছে পৌঁছবে না!
-ইমাম গাজ্জালী
৪৪। পৃথিবীটা হচ্ছে একটি আয়নার মতো- তুমি সবার সাথে যেমন ব্যবহার করবে যেমন মনোভাব পোষণ করবে ঠিক তেমনটাই ফিরে পাবে প্রতিদানে।
– অ্যানোনিমাস
৪৫। ১। আগুনকে যে ভয় পায়, সে আগুনকে ব্যবহার করতে পারে না।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৪৬। ঘুমিয়েই কি কেটে যাবে একটি জীবন? জীবন হোক কর্মচাঞ্চল্যে ভরপুর, ছুটে চলার নিরন্তর অনুপ্রেরণা। বিশ্রাম নেওয়ার জন্য কবরের জীবন চিরকাল পড়ে রয়েছেই।
-হযরত আলী (রাঃ)
৪৭। তোমার মেধার ঘাটতি থাকতে পারে, কিন্তু তোমার চেয়ে বেশি পরিশ্রম অন্য কেউ করবে সেটি তো হতে দেওয়া যায় না- পরিশ্রম দিয়ে মেধার ঘাটতি অবশ্যই পুষিয়ে নেওয়া যায়, আমিই তার উদাহরণ!
-Derek Jeter
৪৮। তোমার জীবনটা কিন্তু একান্তই তোমার, তুমি কী হবে কী করবে সে ব্যাপারে অন্যরা পরামর্শ দিতে পারে কিন্তু তাদের ইচ্ছা তোমার উপর চাপিয়ে দেওয়ার কোন অধিকার নেই কারো। কাউকে সেই সুযোগ দিতে নেই কখনো।
– অ্যানোনিমাস
৪৯। জীবনে সবকিছু একবার হলেও চেষ্টা করে দেখা উচিত। স্রষ্টা প্রতিটি মানুষকে কিছু না কিছু ক্ষেত্রে অনুপম দক্ষতা দিয়ে পাঠিয়েছেন, তুমি সেটি কখনো জানতেও পারবে না যতদিন না তুমি সেটি চেষ্টা করে দেখছো।
– অ্যানোনিমাস
৫০। সাময়িক প্রয়োজন দীর্ঘ সময়ের দুঃখের কারণ।
– রেদোয়ান মাসুদ
৫১। তোমার স্বপ্ন আর তোমার মাঝে দাঁড়িয়ে আছে কেবল একটি জিনিস- সেটি হচ্ছে অজুহাত! যে মুহূর্ত থেকে তুমি নিজেকে অজুহাত দেখানো বন্ধ করে কাজ শুরু করবে সে মুহূর্ত থেকে তোমার স্বপ্ন আর স্বপ্ন থাকবে না- সেটি বাস্তবে রূপ নিতে শুরু করবে!
-Jordan Belfort

৫২। যার কথার চেয়ে কাজের পরিমান বেশী, সাফল্য তার কাছেই এসে ধরা দেয়। কারণ, যে নদী যত গভীর তার বয়ে যাওয়ার শব্দ তত কম।
৫৩। একজন জ্ঞানী জানেন যে তিনি কী জানেন না। আর একজন মূর্খ নিজেকে সবসময় সবজান্তা মনে করে।
৫৪। জীবনটা উপভোগ করতে হয় প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে, প্রতিটি ছোট্ট ছোট্ট স্মৃতি আনন্দে উপলক্ষ্যে। যত বেশি হাসবে, যত কম অভিযোগ করবে, জীবনটা ততোই ভরে উঠবে সুখে, পরিতৃপ্তিতে।
– অ্যানোনিমাস
৫৫। আমরা খ্যাতিমান হতে চাই। কিন্তু খ্যাতির জন্যে নীরব সাধনা ও প্রয়োজনীয় কষ্ট স্বীকার করি না। ফলে সাধনাও হয় না, খ্যাতির শীর্ষেও পৌঁছতে পারি না।
৫৬। ব্যক্তিগত খেয়াল বা আবেগ আর জীবনের লক্ষ্যকে এক করে ফেলবেন না। লক্ষ্যকে যখন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবেন তখন তা আপনাকে আবেগের ঊর্ধ্বে নিয়ে যাবে।
৫৭। সুযোগের সাথে জড়িত ঝুঁকি গ্রহনে সাহসী হোন।
৫৮। নিজের লক্ষ্য ও স্বপ্নকে আপনার আত্মার সন্তান হিসেবে লালন করুন, এগুলোই আপনার চূড়ান্ত সাফল্যের নকশা হবে
– নেপোলিওন হিল
৫৯। আমার অভিধানে “অসম্ভব” নামে কোন শব্দ নেই
– নেপোলিয়ন বোনাপার্ট
৬০। ‘সমস্যা’ শব্দটির পরিবর্তে ‘সম্ভাবনা’ শব্দটি বেশি ব্যবহার করুন।
৬১। শৃঙ্খলা জীবনকে সমৃদ্ধ করে। লোহা ও চুম্বকের রাসায়নিক উপাদান এক হলেও সুশৃঙ্খল আণবিক বিন্যাসের কারণে চুম্বকের রয়েছে আকর্ষণী শক্তি যা লোহার নেই।
৬২। শিক্ষার উচিত তাকে উদ্যোক্তা বা চাকরি সৃষ্টিকারী হতে প্রস্তুত করা, চাকরি খুঁজতে নয়। আমরা যদি তরুণদের চাকরি সৃষ্টিকারী হিসেবে গড়ে তুলতাম, তাহলে বেকারত্ব বলে কিছু থাকত না
– ড. মুহাম্মদ ইউনূস
৬৩। জীবনটাকে কখনই রসগোল্লা ভাববেন না, জীবনটা আসলে কাঁচা মরিচের মত। যত খাবেন ততই ঝাল। কিন্তু সব ধরনের ভিটামিন সমৃদ্ধ। তাই যত বেশি মানুষের সাথে চলবেন তত বেশিই আঘাত পাবেন। কিন্তু জীবনে বড় ধরণের শিক্ষা পাবেন, যা আপনাকে একসময় নিয়ে যাবে সাফল্যের চূড়ায়।
-রেদোয়ান মাসুদ
৬৪। হতাশা একটি বিলাসিতা। হতাশার জায়গাটি আজ থেকে দখল করুক কাজ শেষের তৃপ্তিমাখা ক্লান্তি।
– অ্যানোনিমাস
আরও পড়ুনঃ দুঃখ সম্পর্কিত ৫০ টি বিখ্যাত উক্তি
৬৫। কর্মস্থলে প্রতিযোগীকে সবসময় শ্রদ্ধা করুন। শক্তিশালী প্রতিযোগী আপনার মেধার সর্বোত্তম বিকাশে অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে।
৬৬।একটা ভুল মানুষকে হয়তো অনেক কাঁদায়, কিন্তু মনে রাখতে হবে জীবনে এমন কিছু ভুল আছে যা ভবিষ্যতে হাজারটা ভুল থেকে বাচায়।
_ রেদোয়ান মাসুদ

৬৭। আপনার সময় নেই– এ অজুহাত গ্রহনযোগ্য নয়। কারণ সময় কোন কাজে ব্যয় করবেন তা নির্ধারণের অধিকার আপনার রয়েছে।
৬৮। আত্মকেন্দ্রিকতা ও ‘আমারটা আগে’ এ দৃষ্টিভঙ্গি জীবনকে এক ক্লান্তিকর বোঝায় পরিণত করে। আর বিনয়, সহানুভূতি ও উপকার যত ক্ষুদ্রই হোক জীবনকে প্রাণবন্ত ও হাস্যোজ্জ্বল করে তোলে।
৬৯। যে পুরুষ কখনো দুঃখকষ্ট ভোগ করেনি এবং পোড় খাওয়া মানুষ নয় মেয়েদের কাছে সে তেমন বাঞ্ছনীয় না । কারণ দুঃখকষ্ট পুরুষকে দরদি ও সহনশীল করে তোলে।
– ডেনিস রবিনস
৭০। মুক্ত বিশ্বাস হচ্ছে সকল সাফল্য, সকল অর্জনের ভিত্তি। বিশ্বাসই রোগ নিরাময় করে, মেধাকে বিকশিত করে, যোগ্যতাকে কাজে লাগায়, দক্ষতা সৃষ্টি করে। ব্যর্থতাকে সাফল্যে আর অশান্তিকে প্রশান্তিতে রূপান্তরিত করে।
৭১। সুন্দর প্রত্যাশা ও প্রত্যয় নিয়ে দিন শুরু করুন। ঘুম ভাঙতেই বলুন, শোকর আলহামদুলিল্লাহ/থ্যাঙ্কস গড বা প্রভু ধন্যবাদ, একটি নতুন দিনের জন্যে। দিনের সমাপ্তিও ঘটবে এইভাবে।
৭২। যা করতে পারবেন না বা করবেন না, সে ব্যাপারে বিনয়ের সাথে প্রথমেই ‘না’ বলুন।
৭৩। সাফল্যের মূলমন্ত্র হল যা আমরা ভয় পাই তার উপর নয় বরং আমরা যা চাই তার উপর আমাদের চেতন মনকে কেন্দ্রীভূত করা
– ব্রায়ান ট্রেসি
৭৪। আকাশের দিকে তাকাও। আমরা একা নই। পুরো মহাবিশ্ব আমাদের প্রতি বন্ধুত্বসুলভ। যারা স্বপ্ন দেখে এবং কাজ করে শুধুমাত্র তাদেরকেই শ্রেষ্ঠটা দেওয়ার জন্য চক্রান্তে লিপ্ত এই বিশ্ব।
– এ পি জে আব্দুল কালাম
৭৫।জীবন মানে নিরন্তর ছুটে চলা.. পদে পদে বাধা-বিপত্তি, প্রতিকূলতায় রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত হওয়া, সে ক্ষত মুছে আবার প্রবল আগ্রাসে ঝাঁপিয়ে পড়া.. সংগ্রাম এবং সাফল্য – এই তো জীবন!
-Roy T. Bennett
৭৬। প্রতিটি কাজ করার আগে অন্তত একবার নিজেকে জিজ্ঞেস করুন কাজটি আপনি কেন করবেন।
৭৭। দৃঢ় বিশ্বাস, অনবরত প্রচেষ্টা এবং বিশ্বজয়ী প্রেম-জীবনযুদ্ধ এই হলো মানুষের হাতিয়ার
– আল্লামা ইকবাল
৭৮। বুদ্ধিমান সবসময় কথা বা কাজের আগে চিন্তা করে। আর বোকারা চিন্তা করে (পস্তায়) কাজের পরে।
৭৯। আপনি যা করছেন, যদি ভালোবাসেন এবং ওই কাজে সফলতার জন্য সবকিছু করতে ইচ্ছুক থাকেন, তাহলে সেটা হাতের নাগালে পৌঁছবে। কাজের পেছনে প্রতিটা মিনিটের মূল্যায়ন প্রয়োজন। ভাবুন আর ভাবুন; যে আসলেই আপনি কি নকশা অথবা তৈরি করতে চাচ্ছেন।
– স্টিভ ওজনিয়াক
৮০। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে ব্যর্থ হওয়ার একটি মাত্র উপায় আছে আর তা হল ঝুঁকি না নেওয়া
– মার্ক জাকারবার্গ
৮১। যে কোন সঙ্কটকে বিপদ না ভেবে নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিন।
৮২। কন্ঠকে নয়, শব্দকে ধরে তোলো | মনে রেখো- ঝড় নয়, বৃষ্টিতেই ফুল বেড়ে ওঠে
– জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমি
৮৩। দায়িত্ব নিতে ভয় পাবেন না। তাহলেই নতুন কিছু শিখতে পারবেন।
৮৪। কাজে উদ্যোগী না হলে প্রতিটি কাজই অসম্ভব মনে হয়।
৮৫। বাকা পথে হাটলেও পথ হারাইও না, যে পথ তুমি হারিয়ে ফেলবে হয়তবা সে পথ আবার খুজে পাবে। কিন্তু যে সময়টুকু পিছনে ফেলে আসবে সে সময় কিন্তু আর ফিরে পাবে না।
-রেদোয়ান মাসুদ
৮৬। এই বিশ্বে স্থায়ী কিছুই না, এমনকি আমাদের সমস্যাগুলোও না
– চার্লি চ্যাপলিন
৮৭। দীর্ঘসূত্রিতা ও আলস্যকে প্রশ্রয় দেবেন না। যখন যা করা প্রয়োজন, তখনই তা করুন।
৮৮। ভিন্নভাবে চিন্তা করার ও উদ্ভাবনের সাহস থাকতে হবে, অপরিচিত পথে চলার ও অসম্ভব জিনিস আবিষ্কারের সাহস থাকতে হবে এবং সমস্যাকে জয় করে সফল হতে হবে। এ সকল মহানগুণের দ্বারা তরুণদের চালিত হতে হবে। তরুণ প্রজন্মের প্রতি এই আমার বার্তা।
– এ পি জে আব্দুল কালাম
৮৯। জেগে ওঠো, সচেতন হও এবং লক্ষ্যে না পৌঁছা পর্যন্ত থেমো না
– স্বামী বিবেকানন্দ
৯০। একটি কাজ না করার পেছনে হাজারটি অজুহাত দেখানো যায়, কিন্তু কাজটি করার জন্যে একটি কারণই যথেষ্ট।
৯১। জীবনে ব্যর্থতার প্রধান দুটি কারণ হচ্ছে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের অভাব।
৯২। সমস্যায় পড়লেই সমাধানের জন্যে উৎকন্ঠিত হবেন না। সমস্যাকে তার প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার মধ্যে ছেড়ে দিন। প্রতিটি সমস্যার মধ্যেই নতুন সম্ভাবনা লুকিয়ে থাকে।
৯৩। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ৪ গ্লাস পানি পানের অভ্যাস করুন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে, সহজে পেটের কোন পীড়া হবে না।
৯৪। যা তুমি নিজে করো না বা করতে পারো না,
টা অন্যকে উপদেশ দিও না ।
-হজরত আলী (রা.)
৯৫। প্রো-একটিভ হোন। প্রো-একটিভ মানুষের প্রতি অন্যরা আকৃষ্ট হয়। রি-একটিভ ব্যক্তি সবসময়ই মানুষের বিতৃষ্ণার কারণ হয়।
৯৬। টিয়া পাখির মতো মুখস্ত করে বড় বড় সার্টিফিকেট অর্জন করে বড় বড় চাকরি পাওয়াকে শিক্ষা বলে না, শিক্ষা হচ্ছে সেটা যা একজন মানুষের ভিতরের কুশিক্ষাকে দূর করে সমাজের পরিবর্তনে এগিয়ে আসার উৎসাহ যোগায়।
-রেদোয়ান মাসুদ
৯৭। রাগান্বিত অবস্থায় কোন সিদ্ধান্ত নেবেন না।
৯৮। ছোট ছোট বালুকণা, বিন্দু বিন্দু জল, গড়ে তোলে মহাদেশ, সাগর অতল।
– সংগৃহীত
৯৯। যার হারানোর কিছু নেই, তার ব্যাপারে সর্তক থাকুন।
১০০। সাহসী ও ঝুঁকি গ্রহনে উৎসাহী হোন। সুযোগ হাতছাড়া করবেন না। পেছনের দিকে তাকালে দেখবেন, কাজ করে অনুতপ্ত হওয়ার চেয়ে যে সুযোগ আপনি হাতছাড়া করেছেন, তা নিয়েই অনুতপ্ত হচ্ছেন বেশি।
১০১। কান পেতে থাকুন। সুযোগ অনেক সময়ই দরজায় খুব আস্তে করে টোকা দেয়।
১০২। কারও আশাকে নষ্ট করবেন না। হয়তো এই আশাই তার শেষ সম্বল।
১০৩। কোনো ঘটনার প্রেক্ষিতে সাথে সাথে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবেন না। একটু থামুন। লম্বা দম নিন। মনকে জিজ্ঞেস করুন,”এ মুহূর্তে আমার কি করণীয়?

১০৪।জীবনে অনেক বিষয় আছে যেগুলো তোমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে এবং সেগুলো নিয়ে মাথা ঘামানোরও মানে হয়না, কারণ এর বাইরেও তোমার হাতে হাজার হাজার জিনিস রয়েছে যেগুলো তুমি বিজয় করতে পারো!
-Roy T. Bennett
১০৫। দাম্ভিক হওয়া সহজ, বিনয়ী হতে হলে প্রয়োজন অসাধারণ আত্মসম্মান এবং মানসিক শক্তিমত্তার।
– অ্যানোনিমাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *